প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দোগাছি গ্রাম থেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু হয়েছে ফ্রি এ্যাম্বলেন্স সার্ভিস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার পারভেজ ৩ মাস আগে ্এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। মেরিগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ শেফালী খাতুন এর উদ্যোক্তা। শেফালী খাতুন জানান, আমাদের এই দারিদ্র পীড়িত এলাকাটি পাইতির বিল সংলগ্ন। বিলের ধারে অবস্থিত দোগাছি, দিঙ্গলকান্দি, মেরিগাছা, মনপিরিত, লক্ষীচামারী, কুজাইল, মশিন্দা ও চুলকাটি গ্রামে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বাস। সেখান থেকে উপজেলা সদর বা শহরের হাসপাতাল গুলি ১৪/১৫ কি.মি দুরে অবস্থিত। এলাকার মানুষের আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও সামাজিক সচেতনতার অভাবে সাপে কাটা রোগী, গর্ভবতী মহিলা, ষ্ট্রোক আক্রান্ত, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, একলামসিয়া ও হাইপারটেনশনের মত মমূর্ষ রোগীদের বনপাড়া, নাটোর, রাজশাহী শহরের হাসপাতালে পৌছাতে দেরী হওয়ায় প্রতি বছরই অনেক রোগী মারা যায়। আমি এই সকল রোগীদের পাশে দঁাড়াতে গত কয়েক বছরের বেতনের অংশ জমা করে একটি পুরাতন এ্যাম্বলেন্স কিনে, নিজ অর্থে জ্বালানী সংগ্রহ করে বেতন ভুক্ত ড্রাইভার রেখে সার্ভিসটি চালু করেছি। এ কাজে আমার স্বামী মইনুল হোসন আমাকে সমর্থন যুগিয়েছেন। ইতিমধ্যে এই এ্যাম্বলেন্সে গিয়ে ৫০/৬০ জন রোগি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন, ২ টি মৃতদেহও বহন করে এনেছে। যদি সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা বা দাতা সংস্থার সহযোগীতা পাই তাহলে সেবার পরিধি আরও বড়াবো। শেফালী খাতুন আরও জানান, জনগনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্য বিয়ে রোধ আত্বহত্যা নয় আত্ব বিশ্বাসগড়ে তোলা বিষয়ে মহিলাদের নিয়ে প্রতিমাসে উঠোন বৈঠক করি। শিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে মত বিনিময় করে স্ব-নিয়োজিত আত্বকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, মাদক ও দূর্ণীতি মুক্ত সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করি। বিদ্যালয়ের প্রাধন শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন শেফালী ম্যাডাম সরকারী নির্ধারিত ডিউটির পরে অবশিষ্ট সময় জন কল্যানে ব্যয় করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যার ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, নিঃসন্দেহে এটা একটি মহতি উদ্যোগ শেফালী ম্যাডামের এই প্রয়াসে সময় মত রোগী হাসপাতালে পৌছায় অনেক অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।