নাটোরের লালপুরে পৃথক ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া ও দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া গ্রামে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার (৪২) সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুজ্জামান নুশার (৩৫) কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন আশিকসহ অনন্ত ৬ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, দুপুরে দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য দেওয়ার সময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবলু (৩৫) সিরিয়াল অনুযায়ী না দাঁড়িয়ে জোর করে মালামাল নেওয়ার চেষ্টা করলে ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য রানা সরদার (৩৫) বাধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য দুইজনই আহত হয়েছেন।
এবিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন আশিক বলেন, গতকাল আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সমাবেশ ঘিরে দুড়দুড়িয়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি সভা করছিল। এসময় আমরা তাদের বাধাঁ দেয়ার জেরে ধরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার নেত্রীত্বে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমাদের পথরোধ করে মারধর করে।
এবিষয়ে কথা বলতে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বক্তব্য মুঠোফোনে নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে আশ্রয় প্রশ্চয় দেয় না। এসব ঘটনায় সাংগঠনিক ভাবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, দুড়দুড়িয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর দুয়ারিয়ার ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করে নি। উভয় ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।